মুদ্রা থেকে চিহ্ন
সাদা নয় কালো নয় ধূসর অংশে থাকো
তোমাকে খুঁজতে আমি স্পাই লাগিয়েছি
অনন্ত মুদ্রার বিনিময়ে তারা উপরিতলের
খবর বলেছে আমি অসন্তুষ্ট মনে
এক লাইন সত্য দেখি সকলের বিজ্ঞ মুখে উথলে উঠেছে
তবুও স্বভাবদোষে আমি বুঝি ধূসর অংশে তুমি অনাঘ্রাত আজও
হাজারো পাথর মরু অতিক্রমে অতিক্রমে শুয়ে আছো বালির ভিতর
কাঁকড়া খোঁজার ছলে হয়তো শিশুর কৌতূহল
একদিন নিশ্চয় মেটাবে তার হাতে ধরা কাঠকে শিউরে দিয়ে
তারপর সেই শিশু আমার সন্তান হয়ে ধু-ধু সমুদ্রতটে
কাঠি দিয়ে আঁকবে বিরাট কিছু গোল গোল চিহ্ন
কানামাছির গল্প
আমরাই মুখ্য তবু অন্তিমে আমরা নেই
চিন্তার মুখোশে যেন আমরা কেবল বলিরেখা
চিন্তাকে নায়ক করে এমনই স্বপ্ন দেখাও তুমি
মুখে মুখে ঘুরতে ঘুরতে
চিন্তাশক্তিরই গলা টিপে ধরে যদি!
উগ্রতা ধারনে তুমি দাহ্য পদার্থের মতো
হুউশ্ করে এ আকাশে ও আকাশে আলো বিচ্ছুরনে
মেতে আছো, তারপর ক্লান্তির শাদা বিছানার পাশে
অনিবার্য দাঁড়ানোর কথা – সে তো আর বাণী নয়
নৈঃশব্দ্যের তৃপ্তি, হাতছানি
অন্ধকারে দুঃখের সুহৃদ হয়ে একফোঁটা অশ্রু যেই ফেলবে ভেবেছো
অমনি ক্ষমতা আর বিবেকের পরস্পর বিপরীত টানে
তোমার নৌকোর পেটে নদীঢেউ গরগর করে ওঠে
নৌকোর সাবেকী দেহ পেট্রলবাহিত স্পীডবোটে রূপান্তর হয়ে
ছুটে যায় লক্ষ্য করে দূর মরীচিকা