দধীচির কথা
যাকে তুমি ভাবছ দেখো সেও
জীবনের পাশা নিয়ে ব্যস্ত, তার হাড়ে
বাতের সঙ্গেই যেন জমছে আমোদ
বজ্রের সন্ধানে মুখোমুখি দুইদল সেনা
একটি পুকুরে শুধু ময়লা ফেলছে প্রাণপণ
ডাস্টবিন থেকে যদি গড়ে ওঠে কোনও ফ্ল্যাটবাড়ি
কিছু কিছু খুঁদকুড়ো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়ে যাবে
সুযোগের ভিক্ষাপাত্রে, দূর থেকে দেখে
একালের দধিচিরা অবান্তর মেধার কৌটোয়
আলস্যের হাই তুলে ভাববে ভাববে
ময়লা ফেলার জন্য উর্বর স্থানই তবে ভালো
মাঝরাস্তা
আমার জন্মদিনের সন্ধ্যেটা বরবাদ করেছে
জীবনবীমার একজন এজেন্ট
গোলকধাঁধার মাঝরাস্তায় জন্মাল আরও একটা শিশু
যায় একরত্তি পা-দুটো এখনও পৃথিবীর মাটি ছোঁয়নি
খরখরে দাড়ি-ওঠা গালে কচি পা-দুটো
বুলিয়ে নিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি—
পাছে আমার শ্বাসের মধ্যে রয়ে যাওয়া ইতিহাসের
আমিষ গন্ধটা ওর নাকে যায়!
কিন্তু কতদিন!
ধন্যবাদ