শুভংকর গুহ – “ মানুষের মাংস ” ২

kobita_02

শিল্পীঃ অভিজিৎ শীল

আজ রবিবার বলেই মাংসের দোকানে বেশ ভিড়। লম্বা লাইন। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা প্রত্যেকটি মানুষ বেশ খোশ মেজাজে আছে। হয়ত মাংস খাবে বলে। নিশ্চয়ই এই মাংসের লাইনে দু’চার জন এমন আছে, যারা মাসের শেষ সম্বলটুকু নিয়ে দাঁড়িয়েছে মাংস কিনবে বলে। জিভ খুব সাংঘাতিক। মাংসের দোকানের পাশেই কাঁচা তরিতরকারির দোকান। কুমড়ো, ঝিঙে, পুঁইডাটা অথবা লেবু- এসবের সঙ্গে মানুষের দেহের কোনও মিল নেই। কিন্তু পশুর মাংস আর মানুষের মাংস, দেখতে একই রকম। মানুষের মাংসের রঙ কিন্তু নীল নয়, পশু আর মানুষের রক্তের রঙও লাল। স্বাদের কথাটা বলা কঠিন। মানুষ পশুর মাংস খেলেও মানুষ তো আর মানুষের মাংস খায় না?

     নরহরির চিন্তা হোঁচট খেল।

     মানুষের মাংস। দু’-দুটো বিদেশী গল্প পড়েছিল। তাও ছাত্রজীবনে। কলেজ লাইব্রেরিতে। বেশ লেগেছিল গল্পটা। নরহরির মনে আছে। প্রাচীনকালে মুনি ঋষিরা মানুষের মাংস রোস্ট করে সোমরস দিয়ে ভক্ষণ করত। সে ভাবতে থাকে, সমাজে যারা অপাংক্তেয় তাদের জবাই করা যেতেই পারে। তাহলে মানব জঙ্গলও কিছুটা হাল্কা হবে। এবং মাংসের চাহিদার জন্য মানুষের দামও বাড়বে। তাছাড়া খাদ্য সমস্যাও তো কিছুটা কমে যাবে। মানুষ যে মানুষের মাংস কখনও খায় নি এমন তো নয়। ইতিহাসেও প্রচুর প্রমাণ আছে। অনেক প্রাণী আছে যারা স্বজাতির মাংসও খায়। তাহলে, মানুষ খেলে দোষের কী? মানুষ তো সেই অর্থে আর বন্য নয়। কিন্তু মানুষ মানুষেরই জঙ্গলে বাস করছে। মানুষের জঙ্গল। মানুষ তো সভ্য। পুঁথিগত বিদ্যা আছে। গায়ে বস্ত্রও আছে। সব জানোয়ারের মতন মানুষেরও মন আছে। সেই মনের গভীরে যেমন প্রেম আছে তেমনি লোভও আছে, হিংস্রতা আছে। আছে বিশ্বাসঘাতকতা। মানুষ কিন্তু শিকারের লোভে নয়, মানুষের সঙ্গে ভালো মানুষ হয়ে বাঁচবে বলে, এই পৃথিবীর আলো হাওয়ার মধ্যে জন্ম নেয়।

     এসব কি ভাবছে নরহরি। এগুলো কি ভাবনা? ভাবনাটা কেমন জানি দেহ ও মনে তাকে ক্লান্ত করে দিচ্ছে। নরহরি অন্যমনস্ক হওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু পারছে না। মানুষের মাংস খাওয়া- সে কি নরভোজী? এসব কেন ভাবছে? বুকের ভেতর কি রকম একটা অচেনা যন্ত্রণা হচ্ছে। মানুষের যন্ত্রণাময় এই ভেতরটা ছোঁয়াও যায় না, দেখাও যায় না। হঠাৎ এখনই নরমাংস ভোজের বিদেশী গল্পটা যে কেন মনে পড়ল ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না, নিজেই ঘেন্নায় শিউরে উঠল নরহরি।

     মাংস কেনার লাইন ক্রমশ বড় হচ্ছে। অনেক লম্বা হয়ে গেছে। পরিচিত কয়েকজনকেও চোখে পড়ল। তারাও নরহরিকে দেখছে। নরহরির ঠিক সামনে যে ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে আছেন তিনিও নরহরিকে চেনেন। বললেন,

     আর বলবেন না মশাই, জামাই এসেছে মাসের শেষে। দুর্গাপুরে থাকে। আসে না খুব একটা, পুজোর সময় আসে। এখন এসেছে কলকাতায়, কাজ আছে। নরহরির ঠিক পিছনে যে ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে, তিনি বললেন,

     ডাক্তারবাবু বলেছেন মেটে খেতে, কে জানে কাসিম মিঞা মেটে দেবে কিনা…

     আরে শেখ মুখতার মশাই যে, নরহরি বলল।

ভদ্রলোক একগাল হেসে দিলেন। বড় রাস্তায় ছাতার দোকান আছে। ভদ্রলোক কিন্তু হিন্দু। ওনাকে ফিল্মস্টার শেখ মুখতারের মতন দেখতে বলে, সবাই তাকে শেখ মুখতার নামে ডাকে। শেখ মুখতার বলল,

মার মৃত্যুর পরে, আজ এই প্রথম মাংস কিনতে এলুম। বাড়ির সবাই বলল যে…

     নরহরি ভাবল নতুন জামাইকে যদি মানুষের মেটের ঝাল খেতে দেওয়া হয়, তাহলে বেশ হয়। মানুষের শরীরে কি মেটে হয়? কেন হবে না? সব জন্তু-জানোয়ারের শরীরে মেটে আছে। মানুষ, কুকুর, পাঠা, ছাগল, ভেড়া, শুয়োর, হাতি, বাঘ, গাধা সবারই মেটে আছে। নরহরি ফিক্ করে হেসে ফেলল। ছেলেবেলায় তোতলা মাস্টারকে দেখে ঠিক এইভাবে হাসত। পাঞ্জাবীর পকেটে হাত ঢুকিয়ে সে একশো টাকার নোটটাকে ঘেটে নিল। কড়কড়ে নোট। এই টাকাটা দিয়েই আজ  সে মাংস কিনবে। কিসের মাংস? প্রমীলার কথা শুনলেই ভালো হত। একজন ছাপোষা কেরানীর পরপর দু’দিন মাংস খাওয়া মোটেই মানায় না।

     হ্যাঁ তাই তো? নরহরি কি ভুল দেখছে? মানুষের লাশই তো। লাশকাটা ঘরে মানুষের এমন লাশ সে কত দেখেছে। টুকরো হয়ে পড়ে থাকা মানুষের লাশ। কাসিম মিঞা লাশটিকে আঙটায় ঝুলিয়ে রেখেছে। জল দিয়ে ধুয়ে ফেলেছে। নাভির নিচ থেকে শরীরটাকে ভাগ করেছে। মোটা মোটা পা। নিম্নাঙ্গটা আলাদাভাবে কেটে ফেলেছে। চোখ দুটো খোলা। অসম্ভব সাদা। চুলের সামনেটা জলে ভিজে গেছে। কপালের কাছে লেপ্টে আছে চুলগুলো। কচি গোলাপের পাপড়ির মতো রঙ মাংসটার। হাতের আঙুলগুলো চুঁইয়ে চুঁইয়ে রক্ত পড়ছে। একটা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে, তাজা বকফুলের মতো গন্ধ। মানুষের শরীরের ভেতরের গন্ধ। গন্ধটা নরহরি একটানে যতটা নেওয়া যায়, নিল।

     ঝলমলে রোদে, সকালটা বেশ নড়েচড়ে উঠেছে। রবিবারের সকালের বাজার। কোলাহল মুখর। কাচা হলুদ রঙের রোদ মানুষটার লাশের ওপর গিয়ে পড়েছে। লাশটাও তাজা গোলাপি রঙের হয়ে উঠেছে, আর বেশ উত্তাপময়। মানুষের শরীরের উত্তাপটা বোধহয় অন্যান্য প্রাণীর দেহের থেকে বেশি। কাসিম সেইজন্যই বোধহয় বারে বারে জল ছিটাচ্ছে।মাথাটা কাঠের পাটাতনে রাখা। ঠোঁট ফাঁক করা, রক্তের দাগে ভর্তি পোক্ত দাঁতগুলোতে দীর্ঘদিন পান খাওয়ার অভ্যাসের ছাপ আছে। নরহরি লাইনে দাঁড়িয়ে যতখানি ঝুঁকে পড়া সম্ভব, ঠিক ততটাই ঝুঁকে মাথাটাকে শনাক্ত করার চেষ্টা করল। বয়স কত হবে? লোকটার! আটান্ন কি ষাট ছুঁই-ছুঁই। নরহরি শিউরে উঠল। তার বয়সও তো প্রায় আটচল্লিশ হয়ে গেল।

     মাংস কেনার পক্ষে এই ভদ্রলোক বোধহয় বেশ পোড় খাওয়া, তিনি বললেন

     এত বড় পাঠার মাথা। মাংসটা সেদ্ধ হলে হয়।

     নরহরি কেন জানি ভয় পেয়ে গেল। চোখের সামনে শুধু নিজের সংসারটা ভেসে উঠল। মাসের মাইনেটা হাতে পেলে তারপরের দিন থেকেই ত্রিশ অথবা একত্রিশ সংখ্যার দিকে চাতক পাখির মতন তাকিয়ে থাকতে হয়। প্রোটিনের অভাবে ছেলেটা দিনে দিনে রোগা হয়ে যাচ্ছে। কোনো-কোনো দিন নরহরির সংসারের বাসিন্দাদের শুধুমাত্র সেদ্ধভাত খেয়ে কাটাতে হয়।প্রমীলাও অর্থের টানাটানির কথা ভাবতে ভাবতে পায়ের বুড়ো আঙুল দিয়ে মেঝে খোটে।

     খোকনের ধুলো ভর্তি পা। ফুটবল খেলে ফিরল। প্রমীলা উনুনে আঁচ দিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিচ্ছে। মাসের শেষে সাবান ফুরিয়ে এলে আটার ভুষি দিয়ে রগড়ে হাত ধুতে হয়। হাত পরিষ্কার করে আটা মাখবে। নরহরির পরিবার রাত্রে রুটি খায়। চালের যা দাম। প্রমীলা দিনের বেলায় কোনোদিন লণ্ঠনের চিমনি পরিষ্কার করে না। সন্ধ্যাবেলাতেই করতে হবে। যা লোডশেডিং হয়। খোকনের পড়াশুনা যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য এই প্রস্তুতি। সংসারের এইসব খুটিনাটি ছবির কথা ভাবতে ভাবতে নরহরি বিভোর হয়ে গেল। সংসারের এই অভাবেও মোহময় এই জীবন ছেড়ে কারই বা মরতে ইচ্ছে হয়।

     কিগো এত দেরি করলে যে? সেই কখন গেলে, আর এই এলে?

     নরহরি টলছিল, মাতাল যেভাবে টলে। কেমন অস্বাভাবিক দেখাচ্ছিল। বাজারের ব্যাগটা প্রমীলার হাতে দিয়ে বলল,

     এই নাও, মানুষটার অনেক বয়স হয়েছিল। বুড়ো মানুষের মাংস। দামে কম, খেতেও ভাল। পাঠার মাংস আজকাল পাওয়া যাচ্ছে না। পাঠা, ছাগল, খাসি, ভেড়া সব বিলুপ্ত হয়ে গেছে। মানুষ প্রচুর পাওয়া যাচ্ছে। এখন থেকে বুড়ো মানুষের মাংসই খেতে হবে। কচি মাংস পাবে না। কচি মানুষ হত্যা করা আইনত দণ্ডনীয়।

     মাংসের লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে রোদ ও অপেক্ষায় মানুষটার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। নরখাদকের মতন কথা বলছে। প্রমীলা বলল,

     ঘেন্না পিত্তি সব জলে ভাসিয়েছ। বিয়ের পর থেকে আমার মাংস খেলে, তাতেও মন ভরল না…

     হ্যাঁ, হ্যাঁ, নরহরি উত্তেজিত হয়ে বলে ফেলল, কিছুদিন পরে আমার মাংস খাবে। এই আটান্ন বছরের বুড়ো শরীরটাকে প্রেসারে সেদ্ধ করলেও গলবে না।

     তুমি কি পাগল হয়ে গেছ?

     কেন? পাগল হওয়ার কী দেখলে? অনেক প্রাণীই তো স্বজাতির মাংস খায়। মানুষ খেলেই অন্যায়? তাছাড়া আজ না হোক, মানুষ তো মানুষকে খাবেই।

     তুমি কি জানো না, মানুষ হল নারায়ণ। তুমি কি আমার আর খোকনের মাংস খেতে পারবে? ছিঃ।

     আমি তোমাদের থেকে অনেক বড়। এখন ক্রমশ বৃদ্ধিও হয়ে যাচ্ছে। তোমাদের খাওয়ার সুযোগ আমার আর হবে না।

     প্রমীলা আচমকাই নরহরিকে একটু জোরে ঠ্যালা মারল। নরহরি ধপাস করে তক্তপোশের ওপরে বসে পড়ল। প্রমীলার কেমন যেন ভয়-ভয় করতে থাকল। নরহরিকে এমন ভারসাম্যহীন হয়ে যেতে কোনোদিন দেখেনি। প্রমীলাও তো কোনদিন ভাবেনি, মানুষও তো মানুষের মাংস খেতে পারে!

     ছুটির দিনে সময় যেন দৌড়ে চলে। ঘড়ির কাঁটাটাও যেন বাড়ি ফেরার জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠে। একলাফে, বারোটার ঘরে চলে যায়। পাশের বাড়ির পাঁচিলের উপর কাকটাও আজ যেন তাড়াতাড়ি এসে গেল। এখন অনেকক্ষণ কা-কা করে ডাকবে। প্রমীলাও ব্যস্ত হয়ে উঠল। আজকে কাজটাও যেন কিছুতেই শেষ হচ্ছে না। মনে মনে নরহরিকে কিছুক্ষণ দুষলো সে। বুড়ো বয়সে মানুষটার ভীমরতি ধরেছে। প্রমীলা অভিমানে আপনমনে গজরাতে থাকল, সকাল থেকে কতক্ষণ আর না খেয়ে থাকা যায়। খোকন সেই কতক্ষণ খেয়ে চলে গেছে, পাশের বাড়ির ছাদে ঘুড়ি ওড়াতে। ওর এঁটো থালা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। প্রমীলা খোকনের এঁটো থালা তুলতে গিয়ে দেখে, নরহরি দেয়ালে টাঙানো মা কালীর ক্যালেন্ডার খুলে রোল করে গুটিয়ে রাখছে। প্রমীলা দেখে অবাক হয়ে গেল। বলল,

     একি? মায়ের ক্যালেন্ডারটা খুলে ফেললে কেন? আমি স্নান করে রোজ মাকে প্রণাম করি, তুমি জান না?

     মায়ের হাতে খড়গটা দেখে আমার খুব ভয় লাগছে। কেমন রক্ত মাখানো।

     অলক্ষুণে কথা বলতে মুখে আটকাচ্ছে না। এই দুপুরে কী অমঙ্গুলে কথা গো! মাকে দেখে ভয় লাগে? সংসারের ভালো হবে, এই জন্যই তো…

     আঃ, একটু চুপ করলে ভালো হয়, আমার শরীর ভালো নেই।

     ঠাকুরের আসনে ক্যালেন্ডারটা রেখে দাও। আমি স্নান করে এসে টাঙিয়ে দেব আবার। দেরি কোরো না, খেয়ে নাও। আমার জন্য বসে থাকতে হবে না। আমার এখনো অনেক কাজ বাকি। কলের জলও চলে যাবে। অনেক বেলা হয়ে গেছে।

     নরহরি খেতে বসল। কিন্তু খাওয়াতে একদম রুচি নেই। বমি আসছিল। দম ঠেলে উল্টিয়ে আসছিল। সমস্ত শরীর কেমন গুলিয়ে উঠেছিল। পেটের ভেতরে পাকস্থলীটা কেমন যেন ঘুরপাক খাচ্ছে। শরীরের শিরা-উপশিরাগুলো কেঁপে-কেঁপে উঠছে। নরহরি এমনিতে খুব তাড়াতাড়ি খায়। শুধু খেতে বসার অপেক্ষা। কিন্তু আজকের মতন আস্তে খেতে প্রমীলা কোনোদিন নরহরিকে দেখেনি। বোধহয় মানুষটা অসুস্থ হয়ে গেছে। নরহরির কপালে হাত দিয়ে দেখল প্রমীলা, কপালটা বেশ গরম। অসুখ-টসুখ নরহরির জীবনে কোনোদিন লেখা নেই। তাহলে জ্বর কেন এল? প্রমীলা একটু অবাকই হয়ে গেল। বাজারে যাওয়ার আগে মানুষটা কিন্তু সুস্থ ছিল। প্রমীলা বলল,

     আজ কি হয়েছে তোমার বলবে? আমি তোমাকে নয় যেন অন্য কাউকে দেখছি। জ্বরও হয়েছে, সকালে তো বেশ ছিলে…

     আমার জ্বর হয়েছে?

     গা যে পুড়ে যাচ্ছে।

     ভয়ে জ্বর হয়েছে। জানো প্রমীলা, আমার ভীষণ ভয় করছে। ভীষণ ভয়। আমার মনে হচ্ছে, থানার দারোগাবাবু যখন-তখন চলে আসতে পারে। হয়তো বলবে, তোমার নাম নথিভুক্ত হয়ে গেছে। কাসিম মিঞা তোমাকে আগামী মাসের পাঁচ তারিখে ধরে নিয়ে যাবে। তোমার সেদিন জবাই হবার দিন। তোমার জীবনের যাবতীয় ঘটনা আমরা বিচার করে দেখেছি, এখন তুমি এই সমাজের পক্ষে অপাংক্তেয়। অপাংক্তেয় মানুষকে সমাজ থেকে কমিয়ে ফেলাটাই সরকারের উদ্দেশ্য। এর জন্য বিশেষ একটি আইনও প্রণয়ন করা হয়েছে, বর্তমানে এই আইনটাকে ‘মানব কল্যাণ আইন’ বলা হচ্ছে। এই আইনের ধারায় যিনি গেপ্তার হবেন, তার কোনো প্রতিবাদই গ্রাহ্য হবে না। এই আইন চালু হওয়ায় জনসংখ্যা কমছে, বেকারদের চাকুরীও হচ্ছে। আর মানুষের বেঁচে থাকাটাও প্রতিযোগিতার রূপ নিচ্ছে না। তবে হ্যাঁ, যে সব মানুষের সংক্রামক ব্যাধি আছে তারা এই আইনের আওতায় পড়বে না।

ক্রমশ প্রকাশ্য...
শুভংকর গুহ – “ মানুষের মাংস ” ১
শুভংকর গুহ – “ মানুষের মাংস ” ৩
Close My Cart
Close Wishlist

Close
Navigation
Categories

Add address

India