(১)
শ্যামলা মেয়েটি নিরুত্তর। চোখের নীরব ভাষা চাপা আগুনের গোলার মতো… জোড়া ভুরুর মাঝে ছোট্ট কুমকুম টিপ, কোঁকরা চুলের ঢালে আস্ত এক সমুদ্রনীল দ্বীপ। নিজের সাথে তার একাত্মতা, একাকিত্ব তার নিরুদ্বেগ জীবনের পাওয়ার হাউস। হারানোর কিছু নেই, আছে কেবল কিছু অসামান্য মুহুর্তে ডুব দেওয়ার হাতছানি। সুখের বিয়োগে অবিরাম অশ্রুধারা… বিনামূল্যে কিনে নেয় মুহুর্ত রতন। মুহুর্তেই তার বেঁচে থাকা; বেঁচে থাকার আখ্যান। নিমেষহীন চোখে সময়ের মূঢ়তায় রিক্ত মেয়ে ঘূর্ণি হয়ে ছোটে… আনাচে -কানাচে, স্বপ্নপোড়া বসন্তের দিনে। চর্চাহীন অন্ধকারে বেঁচে থাকার কান্নাভেজা শ্বাস… অনন্ত প্রতীক্ষা
(২)
মধ্যরাত টলমলে চাঁদ, আকাশের নিশিগল্প। দুঃসহ নিসঙ্গতায় পিচঢিলা সর্পিল রাস্তা, গোপন অভিসারে আদিবাসী কৃষ্ণকলি,–প্রেমিকের সঙ্গসুধা আর কবুতর কথায় ঝিলমিল করছে এ রতি-রাত। চোখেতে কামনার আগুন হিসহিসিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে…। পথকিনারে হীরকদ্যুতি ছড়ানো রাতপার্টিতে–কোহল চলকে পড়ছে পান পাত্রে–এ এক টয়টম্বুর রাত।
কৃষ্ণকলির চোখের তারায় আলোর ঝিলিক, মোহময় হাসিতে দু’হাত ছড়িয়ে তার অনন্ত উড়ান। সুদূর নীলিমায় উড়ে যাওয়া এক রাতপাখি–শরীরের প্রতিটি চড়াই-উৎরাই, বাঁক-উপবাঁকের রহস্য ছাড়িয়ে অন্য এক সাইকোডেলিক আলোকবৃত্তে।