চিত্রকলায় সমাজতত্ত্ব
₹200 ₹160
সম্পাদনা : বিজয় দাস
তৃতীয় মুদ্রণ
শিল্প ও সাহিত্যের মেলবন্ধন নতুন নয়। সৃষ্টির নতুনত্বে নান্দনিক প্রকাশ। সেই কারণেই ব্রহ্মা যেমন একজন শিল্পী তেমনই বিশ্বকর্মাও। এবং তাদের শিল্পীসত্তা সম্পূর্ণতা পায় সারস্বত্ত গুণে। শিল্প হল সমাজের দর্পণ, সমাজের অবক্ষয় সবার প্রথমে আহত করে শিল্পীর মননকে। বিশ্বচিত্রকলার ইতিহাসে বরাবরই সমাজের পরিবর্তন, বিকৃত ভাবনা প্রভাব ফেলেছে শিল্পীর মনে এবং সৃষ্টি হয়েছে অসাধারণ কিছু ছবি, পরিবর্তন হয়েছে চিত্রভাবনা, গঠন, চরিত্র ও মাধ্যমের। যেমন ভাবে চিত্তপ্রসাদ ভট্টাচার্য-এর ছবিতে ফুটে উঠেছিল বাঙলার দুর্ভিক্ষ, আবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবক্ষয় টম লিন (থমাস সি. লিন)-এর ছবিতে। আবার কয়েকজন শিল্পী মিলে গড়ে তুলেছেন এক-একটি শিল্পগোষ্ঠী। তাদের নতুন ভাবনা, নতুনত্বের খোঁজ সমৃদ্ধ করেছে বিশ্বশিল্পকে। প্রভাব ফেলেছে সামাজিক পরিবর্তনে। এছাড়াও একই সাথে রয়ে গেছে লোকশিল্প ও লোকচিত্রকলা। শতাব্দীর পর শতাব্দী সামগ্রী, বিষয় এবং কৌশল অপরিবর্তিত, বা পরিবর্তন হলেও তা খুবই সূক্ষ্ম, যেমন পটচিত্র। পট বাঙলার সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় লোকচিত্র। একজনের পর আরেকজন, বংশপরম্পরায় এঁকে চলেন পট। এছাড়াও একই রকম বহু ভারতীয় লোকচিত্র যেমন- মধুবনি চিত্রকলা, পিথোরা চিত্র, কালামকারি, ওয়ার্লি কিংবা মুঘল মিনিয়েচার বা রাজস্থানি মিনিয়েচার প্রভৃতি টিকে রয়েছে স্বমহিমায় ও শিল্প দক্ষতায়।
পশ্চিমি রেনেসাঁ-র সময় থেকে ইমপ্রেশনিস্টদের সময় পর্যন্ত আবার গুহাচিত্র থেকে বর্তমানের গ্রাফিতি অথবা কনটেম্পোরারি আর্ট। শিল্প রীতির পরিবর্তন সমাজের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। তাই চিত্রকলার বিষয় ভাবনায় বরাবরই সমাজতত্ত্বের অবস্থান রয়েছে। আবার কোনও কোনও শিল্প কখনও হয়ে ওঠে সমাজের অংশ। সেক্ষেত্রে শিল্পী, শিল্প ও দর্শক প্রত্যকের মধ্যেই সমাজের অবস্থান একত্রিত হয়ে গড়ে তোলে এক অন্য সমাজ ব্যবস্থা।
আবার ভারতীয় চিত্রকলা লোকচিত্রে সমৃদ্ধ হলেও, ইংরেজ শাসন পাশ্চাত্য চিত্রভাবনা ও শৈলীর মিশেল ঘটায়। ফলে পাশ্চাত্য মানসিকতা ভারতীয় সমাজকেও প্রভাবিত করে। এবং উপনিবেশিক সময়ের আগে ও পরে ভারতীয় সমাজ, রীতি, শিল্প, মানসিকতার এক বিস্তর পার্থক্য খুব সহজেই নজরে আসে। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও সেই প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে একেবারে স্বতন্ত্র ভারতীয় সমাজ গড়ে তুলতে সক্ষম হইনি। ফলে আমাদের শিল্প, সাহিত্যেও নতুন কোনও ভাবনা বা আঙ্গিকের সৃষ্টি হয়নি। যা কিছু কিছু হয়েছে তাও হাতেগোনা। তাই শিল্প ও সাহিত্যে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছি বিশ্বের নিরিখে, তবে বর্তমান সময়ের অনেক শিল্পী, সাহিত্যিক বা কবিরা তাঁদের কাজে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এক স্বতন্ত্র ধারা তৈরি করার চেষ্টায় রয়েছেন। ফলাফল ভবিষ্যৎ বলবে।
ISBN: 978-81937742-6-7
Weight | 240 g |
---|---|
Dimensions | 8.85 × 5.9 × 0.59 cm |
Cover | Hard Cover |
Cover Design | Bahadur Chitrakar |
Related Products
অনুবাদ ও সম্পাদনা : কৃষ্ণ শিঞ্জিনী দেব
শুভদীপ রায় চৌধুরী
বইটি যথেষ্ট তথ্যমূলক ও মনোগ্রাহী। লেখক বিভিন্ন প্রাচীন প্রতিষ্ঠান পরিবারগুলির বিষয়ে যথেষ্ট গবেষণা করে এটি রচনা করেছেন। অজানা তথ্যকে জানার জন্য বিশেষত কলকাতার পারিবারিক দুর্গাপুজোর বৈভব ও গরিমাকে জানতে এই বইটি কাজে লাগবে। — ড. সৌমিত্র শ্রীমানী (প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ)
This book on the five-day autumnal festival of Bengal which is an unparalleled celebration of mass public festivity is a great endeavour to understand how it all began. I am happy that Mr.Subhadip Roy Chowdhury has painstakingly traced the evolution of Durga Puja of the seven traditional Bonedi houses of Calcutta. Bonedi Kolkata Durgotsava is a laudable effort to understand and chronicle a social, cultural and religious event that has gripped the imagination of every Bengali, no matter in which part of the world they live. It will be a worthwhile addition in my library. — Shahanshah Mirza (Great Great Grandson of king Wajid Ali Shah)
শুভদীপ রায় চৌধুরীর এই বইটিতে পরিশ্রমের ছাপ আছে। পুরনো কলকাতাকে হালফিলের সব মানুষই চেনেন। সেই কলকাতা তো একটা নয়, অনেকগুলো কলকাতা। চালচিত্তির একের মধ্যে বহু। তাই তা এত বর্ণময়। সেই বর্ণময়তার সেরা অনুষঙ্গ দুর্গাপুজো। বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজোর রোশনাই, জৌলুস, গরিমা পুরনো কলকাতার গবেষকের বরাবরের আগ্রহের বিষয়। ছোট ইতিহাস, বড় ইতিহাস সেখানে পাশাপাশি চলে। এই বইটিতে তেমন কিছু ইতিহাস তুলে আনা হয়েছে। মনস্ক পাঠক বইটিতে প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন। অন্যমনস্ক পাঠক বইটি পড়ে আনন্দ পাবেন। — ড. সুপ্রতিম দাশ (অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ এবং সহ-অধ্যক্ষ স্কটিশ চার্চ কলেজ, কলকাতা)